দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ, তিনশত ষাট আউলিয়ার স্মৃতি বিজড়িত, শ্রী চৈতন্য দেব, হাছন রাজা, রাধারমণ সহ অসংখ্য পীর ও সাধকের চরণক্ষেত্র বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের এক গৌরবোজ্জ্বল প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজা গিরিশ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্বর্গীয় রাজা গিরিশ চন্দ্র ১৮৮৬ সনের ১৭ই জুন তাঁর মাতামহ মুরারী চাঁদের নামে "মুরারী চাঁদ কলেজিয়েট হাই স্কুল" নামে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক মুরারী চাঁদ কলেজ গোবিন্দ পার্কে (বর্তমানে হাসান মার্কেট) থেকে স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমান টিলাগরস্থ রাজার নিজ ভূমিতে মুরারী চাঁদ (এম সি) কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে তাঁর নিজ নামে রাজা গিরিশ চন্দ্র (জি সি) হাই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
মূলত বৃহত্তর সিলেটের স্বনামধন্য এম সি কলেজের প্রথম ক্যাম্পাস এই রাজা জি সি হাই স্কুল। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এক সময়ের স্থায়ী স্বীকৃতি প্রাপ্ত এই প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডঃ ফরাস উদ্দিন, গনমানুষের কবি দিলওয়ার, শাবিপ্রবি এর ভিজিটিং প্রফেসর ডঃ কবীর চৌধুরী, পদার্থ বিজ্ঞানী ডঃ রানা চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আলী মোস্তফা, সাবেক সচিব আকমল হোসেন সহ অসংখ্য গুণীজনের জন্ম হয়েছে কীর্তিমান এই রাজা জি সি হাই স্কুল থেকে। কালের পরিক্রমায় রাজা জি সি হাই স্কুল বর্তমানে প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষার্থী ১২জন শিক্ষক নিয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে এই পুণ্যভূমি সিলেটে। উন্নত বিশ্বের শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, অত্যাধুনিক বিজ্ঞানাগারের সমন্বয়ে চলছে এই রাজা জি সি হাই স্কুলের শিখন-শিক্ষণ কার্যক্রম।
খেলাধুলা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে ও জাতীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহণেও পিছিয়ে নেই এই বিদ্যাপীঠ। প্রায় দেড়শত বছরের পুরানো এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি উর্ধবতন কর্ত্রিপক্ষের সুনজর এখন সকল মহলের দাবী। এই প্রতিষ্ঠানেরই প্রাক্তন ছাত্র সুরমা পারের কবি দিলওয়ার রচনা করেছেন এই বিদ্যালয় সম্পর্কে থিম সং - "কালের চিত্তে চির বিকশিত জ্ঞানের পদ্মফুল মহতী আলোর দীপ্ত মশাল রাজা জি সি হাই স্কুল"।
খোদা হাফেজ,
বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।
মোহাম্মদ আব্দুল মুমিত
প্রধান শিক্ষক