রাজা জি.সি (গিরীশ চন্দ্র) হাইস্কুল সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ।এই বিদ্যালয়ের রয়েছে দীর্ঘ ১২৫ বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস।শিক্ষা, সাহিত্য, নাটক, খেলাধূলাসহ সব ক্ষেত্রেই এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের সুনাম রয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু বিগত দেড় দুই দশকের শ্লথগতি।সকল উন্থানের পিছনে একটা সাময়িক ভাটা থাকে। ১২৫ বছর পূর্তির জাঁকজমক অনুষ্ঠানের সুযোগে প্রাক্তন ছাত্রবৃন্দ একটা আশা নিয়ে সমবেত হয়েছেন- স্কুলটা আবার তার হারানো ঐতিহ্যের দিনগুলোতে ফিরে যাবে,এমনই প্রত্যাশা সবার।
মাত্র দুই থেকে আড়াই মাস সময়ের মাঝে ‘১২৫ বছর পূর্তি উদযাপন’ ও তৎপ্রসঙ্গে প্রাক্তন ছাত্রদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, তাদের লেখা সহ ‘স্মরণিকা’ প্রকাশের এক কঠিন দায়িত্ব হাতে নিয়েছে পুনর্মিলনী উৎসব উদযাপন পরিষদ ।আজকের এই স্মরণীয় দিনে আমার একটাই প্রত্যাশা – মহৎ এই উদ্যোগ সফল হোক ।‘স্মরণিকা’ খানি মান দণ্ডের বিচারে উতরে যাবে বলে আমি মনে করি ।
আমি রাজা জি.সি হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।পুনর্মিলন উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে অনেক জ্ঞানী-গুনী পণ্ডিত সমাজসেবী ও বিজ্ঞ সংস্কারকদের সমাবেশ ঘটেছে এখানে।তাঁদের সুপরামর্শ, দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতা আমাকে নতুন করে পথ দেখাবে।আমি বিশ্বাস করি ১২৫ বছর পূর্তি উদযাপন শুধু মাত্র একটা জাঁকজমকপূর্ন মহাকালের সমাবেশ হয়েই থাকবে না-এতা হবে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবযাত্রার মাইলফলক।
রাজা জি.সি হাইস্কুল আমার সর্বনিকটতম প্রতিবেশী।বোধ হয় তাও নয়- একই বাড়িতে যেনো দু’টি স্থাপনা।আমরা পশ্চিমাংশে আর রাজা জি.সি পূর্বাংশে ।অতএব এ স্কুলের প্রতি আমার ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন পরিবারের নাড়ির টান রয়েছে।
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সিলেটের কৃতি সন্তান নূরুল ইসলাম নাহিদ এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন ।সিলেটের আরেক কৃতি সন্তান মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করছি।আমার একই পরিবারভুক্ত এ স্কুলটির উন্নয়ন, সংস্কার ও অগ্রযাত্রার এই দুই মহান ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এবং দিক নির্দেশনা দেবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
রাজা জি.সি হাইস্কুলের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত এই স্মরনিকা হবে আগামী দেড়শত বছর পূর্তি উদযাপনে এক নির্ভরযোগ্য দলিল-এইটুকু কামনা।